ঢাকা | বঙ্গাব্দ

জাবি শিক্ষার্থীদের 'জাহাঙ্গীরনগর ব্লকেড' ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি

সকাল পৌনে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা মেরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
  • আপলোড তারিখঃ 20-11-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 13320 জন
জাবি শিক্ষার্থীদের 'জাহাঙ্গীরনগর ব্লকেড' ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি - ছবি: খবর দিনরাত
ad728

জাবি প্রতিনিধি: ব্যাটারি চালিত রিকশার ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (জাবি) আফসানা করিম রাচি নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে এবং ৮ দফা দাবি পূরণের লক্ষ্যে 'জাহাঙ্গীরনগর ব্লকেড' কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। 


আজ বুধবার আনুমানিক সাড়ে ৯ টায় 'নিরাপদ সড়কের দাবিতে ৫৩ তম আবর্তন' ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ও হল প্রদক্ষিণ করে কলা অনুষদের সামনে এসে অবস্থান গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ তম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা সেখান থেকে মিছিল নিয়ে পুনরায় মূল ফটকে অবস্থান গ্রহণ করেন।


এর আগে সকাল পৌনে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা মেরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশাপাশি প্রান্তিক গেটেও তালা দেয় শিক্ষার্থীরা। এই সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকগুলো থেকে কোনো যানবাহনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। 


বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন গেটে অবস্থানরত অবস্থায় " আমার বোন মরলো কেন, প্রশাসন জবাব দে", " আমরা সবাই রাচির ভাই, রাচি হত্যার বিচার চাই", " রাচি হত্যার বিচার দে, নইলে গদি ছাইড়া দে", " আমার বোন কবরে, খুনি কেন বাহিরে? " ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। 


বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেটে দায়িত্বরত গার্ড পারভেজ বলেন, " সকাল এসে শিক্ষার্থীরা গেটে তালা মেরে গিয়েছে। সকাল থেকেই আমরা কোনো যানবাহন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢুকতে দেই নাই। " 


ব্লকেড কর্মসূচি চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী আদৃতা বলেন, "আমাদের বোন রাচির মৃত্যুর প্রতিবাদে এবং আমাদের ৮ দফা দাবি পূরণের জন্য আমরা আজকের এই ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছি। গতকালকে প্রশাসন থেকে ঘোষণা আসার আগেই আমরা ৫৩ ব্যাচ সকল ধরনের ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেছি৷ প্রশাসন ৪৮ ঘন্টা সময় নিয়েছে আমাদের দাবিগুলো পূরণের জন্য, এর মধ্যে আমরা দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না দেখতে পেলে আমরা সকল ধরনের ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করবো এবং সিনিয়র সকল ব্যাচকেও আমাদের সাথে সংহতি জানানোর জন্য আহ্বান করব।"