খবর দিন রাত 
আমানউল্লাহ খান, জাবি প্রতিনিধি: বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছে প্রেম বঞ্চিত সংঘ।
শুক্রবার (১৪ই ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্র চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বটতলা দিয়ে শহিদ মিনারের পাশ দিয়ে ছাত্রীদের হল (উত্তরপাড়া) ঘুরে ট্রান্সপোর্ট চত্বরে এসে শেষ হয়।
মিছিলে নারীর প্রেম থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা স্বতস্ফূর্তভাবে দলে দলে অংশগ্রহণ করে। যারা আগে প্রেম করে ছ্যাকা খেয়েছে তারাও মিছিলে অংশ নেয়।
বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন তারা “তুমি কে? আমি কে? প্রেম বঞ্চিত প্রেম বঞ্চিত; আমরা কেন বঞ্চিত? জবাব চাই জবাব চাই; প্রেমের নামে নষ্টামি, চলবে না চলবে না; কাপলদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; কাপলদের চার হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; ছাত্রলীগের প্রেমিকারা, হুঁশিয়ার সাবধান” সহ নানা স্লোগান দেয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আকুল বলেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৫০ শতাংশ ছেলে এবং মেয়ে ভর্তি করায়। সেই হিসেবেও আমরা একটা মেয়ে ডিজার্ভ করি। কিন্তু কিছু অসাধু প্রেমিক আমাদের ১০ জনের হক একাই মেরে দেয়, এটা আমাদের সঙ্গে চরম বৈষম্য।”
সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রিজন বলেন, "আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলে মেয়ের সংখ্যা সমান হওয়ার পরেও আমরা প্রেম থেকে বঞ্চিত। আমরা মনে করি এটা আমাদের ন্যায্য অধিকার কিন্তু কিছু অসাধু প্রেমিক একসাথে ৩/৪ টি প্রেম করার ফলে আমরা যারা সিঙ্গেল আছি তারা প্রেম থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তাদেরকে সাবধান করার জন্যই আমাদের এই বিক্ষোভ মিছিল। এই মিছিলের মাধ্যমে আমাদের অধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম শুরু হলো।"
সমাপনী বক্তব্যে জাবি প্রেম বঞ্চিত সংঘের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাশ্বত প্রামানিক বাবাই বলেন, “১৪ ফ্রেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসের নামে আমাদের সিঙ্গেলদের সাথে ছলনা করা হচ্ছে। আমরা যারা ক্যাম্পাসে প্রেম করি না তারা বঞ্চনার শিকার কিন্তু আমাদের কথা কেউ বুঝে না। এখানে এক প্রেমিক একাধিক প্রেম করে। এতে আমার আরেক ভাই বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা আজ এসেছি আমার ঐসব সিঙ্গেল ভাইদের অধিকার নিয়ে। আমাদের এক দফা এক দাবি – একজন প্রেমিক একটাই প্রেম করুক, সবাই প্রেম করুক। প্রেম দিয়ে আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভরিয়ে দিতে চাই।”
উল্লেখ্য যে, এই প্রেম বঞ্চিত সংঘের বিক্ষোভ মিছিলে সিঙ্গেল নয় এমন অনেকেই অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে অন্যতম ৫০ ব্যাচের শাহরিয়ার মুন্না, মুশফিকুর রিজন, মো. মুন্না মিয়া। তবে আহ্বায়ক শাশ্বত প্রামানিক সহ আরও অনেকের প্রেমের বিচ্ছেদ হওয়ায় তাদের অংশগ্রহণে কোনো বাঁধা নেই বলে জানিয়েছেন অংশীজনেরা।
আরও উল্লেখ্য যে, ক্যাম্পাসে প্রেম থেকে সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হচ্ছে ৫২ তম আবর্তনের ছেলেরা। এমনকি ৫২ ব্যাচের মেয়েদের সহ ৫৩ ব্যাচের মেয়েদেরও ৫০ ও ৫১ ব্যাচ নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
