নিজস্ব প্রতিবেদক: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, “মোংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নত করা হবে, মোংলা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর। ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় এ সমুদ্র বন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অর্থনীতিতেও বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। রাজধানী ঢাকা থেকে বন্দরটির সড়ক পথে দুরত্ব মাত্র ২১০ কিলোমিটার। এছাড়াও বন্দরটির সাথে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য প্রান্তের রেল ও নৌযোগাযোগ রয়েছে। সুতরাং এ বন্দরটিকে পিছিয়ে রাখার কোন সুযোগ নেই। মোংলা বন্দরকে আরো আধুনিক ও বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার জন্য বেশ কিছু প্রকল্প চলমান রয়েছে ও কিছু প্রকল্প ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য হাতে নেয়া হয়েছে।”
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বারের মত মোংলা বন্দর পরিদর্শন করতে এসে বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বন্দরের জেটিতে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন,এখানে কন্টেইনার টার্মিনাল নেই। চায়না ও ভারতের অর্থায়নে জি টু জি’র আওতায় মোংলা বন্দরের সাথে হওয়া চুক্তি বাস্তবায়ন এবং প্রকল্পের কাজ শেষ হলে আগামী ২ বছরের মধ্যে এই বন্দরের দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। একই সাথে প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে কন্টেইনার টার্মিনাল ও ইয়ার্ডসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে। এর ফলে চট্রগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ কমবে এবং মানসম্মত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ভারত, নেপাল ও ভূটানের জন্য এই বন্দরটি ব্যবহারের উপযোগী হবে বলেও জানান তিনি। উপদেষ্টা এসময় খুলনা ও যশোরের বন্ধ ৫টি পাটকল চালুর জন্য চায়না ও দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ইজারা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান, সদস্য (অর্থ) কাজী আবেদ হোসেন, সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) ড. এ. কে. এম. আনিসুর রহমান, সদস্য ( হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কিবরিয়া হক, বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগের উপ সচিব মোঃমাকরুজ্জামান প্রমুখ।
এরআগে তিনি মোংলা বন্দরের কনফারেন্স রুমে বন্দরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সভা করা করেন এবং মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের বিভিন্ন স্পট ছাড়াও VTMIS (মোংলা), ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এরিয়া ও স্থায়ী বন্দর জেটি এলাকা পরিদর্শন করেন।