ঢাকা | বঙ্গাব্দ

৪৫ মিনিট দেরি করে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন খুলনা থেকে ঢাকায় পৌঁছেছে

খুলনা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও ৪ মিনিট দেরিতে যাত্রা শুরু করে আর ঢাকায় গিয়ে পৌঁছায় ১০টা ৩৫ মিনিটে। বাংলাদেশ রেলওয়ের সময়সূচি অনুয়ায়ী, ট্রেনটির দেরি হয়েছে ৪৫ মিনিট।
  • আপলোড তারিখঃ 24-12-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 57432 জন
৪৫ মিনিট দেরি করে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন খুলনা থেকে ঢাকায় পৌঁছেছে - ছবি: খবর দিনরাত
ad728

এমডি আল মাসুম খান: নির্ধারিত সময়ের ৪ মিনিট দেরি করে খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন। আজ মঙ্গলবার সকালে খুলনা রেলস্টেশনে খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন। খুলনা রেল স্টেশন থেকে নড়াইল হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন সাড়ে চার ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছেছে। 


খুলনা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও ৪ মিনিট দেরিতে যাত্রা শুরু করে আর ঢাকায় গিয়ে পৌঁছায় ১০টা ৩৫ মিনিটে। বাংলাদেশ রেলওয়ের সময়সূচি অনুয়ায়ী, ট্রেনটির দেরি হয়েছে ৪৫ মিনিট।


নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী, ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে। তবে শিবচরে ক্রসিংয়ের কারণে ২৫ মিনিট দেরি হয় ট্রেনটির। ট্রেনে থাকা যাত্রীদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। কিছুটা দেরি হলেও ট্রেনে এত কম সময়ের মধ্যে খুলনা থেকে ঢাকায় যেতে পারায় খুলনার ট্রেন যাত্রীরা আনন্দিত হয়েছে। ট্রেনের অন্য সেবাও বেশ ভালো বলে জানিয়েছেন তাঁরা। যাত্রীরা আশা করছেন, সামনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ট্রেনটি ঢাকা ও খুলনায় পৌঁছাবে। প্রথম দিন হওয়ায় বিভিন্ন কারণে হয়তো দেরি হয়েছে। খুলনা থেকে নড়াইল হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় নতুন রেল রুট চালু হয়েছে। 


এর আগে ট্রেনে করে খুলনা থেকে ঢাকায় যেতে সময় লাগত কমপক্ষে সাত ঘণ্টা। আজ প্রথম দিন খুলনা থেকে ৫৫৩ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল জাহানাবাদ এক্সপ্রেস। খুলনা থেকে প্রথমবার এই ট্রেনের যাত্রা শুরু হলেও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে। সেখানে আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।


ট্রেনের দায়িত্বরত পরিচালকের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানা গেছে ট্রেনটি খুলনা থেকে ৪ মিনিট দেরিতে ছেড়েছিল। আর ঢাকায় পৌঁছেছে ১০টা ৩৫ মিনিটে। সব মিলিয়ে প্রথম যাত্রায় ৪৫ মিনিটের মতো দেরি করেছে ট্রেনটি। 


খুলনার একজন যাত্রীর সাথে মুঠো ফোনে কথা হওয়ায় জানা যায় তার ট্রেন জার্নিটা ছিল বেশ আরামদায়ক। সার্ভিসও ছিল বেশ সুন্দর। সব মিলিয়ে এত কম সময়ের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছানো যাবে, তা আমাদের কাছে ছিল কল্পনাতীত। আজ সেই ঐতিহাসিক যাত্রায় সঙ্গী হতে পেরে আমি খুব খুশি।


আটটি স্টেশনে ট্রেনটি গড়ে তিন মিনিট করে দেরি করেছে। এ ছাড়া শিবচরে ক্রসিংয়ের কারণে দেরি হয়েছে আরও ২৫ মিনিটের মতো। এসব কারণেই হয়তো ট্রেনটি নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাতে পারেনি। আজকে চালু হওয়ায় প্রথম দিন ট্রেনে কোনো খাবারের ব্যবস্থা ছিল না। এ কারণে ভোরে যাত্রা শুরু করা যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এই নতুন চালু হওয়া ট্রেনের নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী, খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত শোভন চেয়ার ৪৪৫ টাকা, স্নিগ্ধা (এসি চেয়ার) ৮৫১ টাকা ও এসি সিট ১০১৮ টাকা।



notebook

চট্টগ্রামে আলোচিত হানিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার