ঢাকা | বঙ্গাব্দ

কায়রোতে ডি-৮ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেলেন ড. ইউনূস

সম্মেলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাইডলাইন বৈঠকে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনকে সমর্থনের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।
  • আপলোড তারিখঃ 30-10-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 7130 জন
কায়রোতে ডি-৮ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেলেন ড. ইউনূস - প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস,
ad728

ডেস্ক রিপোর্ট: আসন্ন ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আয়োজক দেশ মিশর। বুধবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি অধ্যাপক ইউনূসের কাছে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির পক্ষ থেকে এই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন।


রাষ্ট্রদূত ফাহমি জানান, অন্তত পাঁচটি দেশে—তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান ও নাইজেরিয়ার সরকার প্রধানগণ আগামী ১৬ থেকে ১৯ ডিসেম্বর কায়রোতে অনুষ্ঠেয় ডি-৮ সম্মেলনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন।


তিনি বলেন, সম্মেলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাইডলাইন বৈঠকে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনকে সমর্থনের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।


রাষ্ট্রদূত আরও জানান, জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রচেষ্টায় মিশর সরকার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।


অধ্যাপক ইউনূস এই সমর্থনকে স্বাগত জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন মিশর ও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে, যেমন ওআইসি এবং ডি-৮-এ হাতে হাত মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করবে।


প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি মিশরে ডি-৮ সম্মেলনে অংশগ্রহণের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন।


রাষ্ট্রদূত ফাহমি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাও ডি-৮ সম্মেলনের সময় মিশর সফর করবেন। তিনি বলেন, মিশর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও ওষুধ শিল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে উপকৃত হতে চায় এবং পাট চাষ সম্পর্কে শিক্ষা নিতে আগ্রহী।


তিনি আরও উল্লেখ করেন, উভয় দেশের মধ্যে কৃষি, টেক্সটাইল এবং ওষুধ শিল্পের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা উচিত।


রাষ্ট্রদূত নিশ্চিত করেন, ২০৩১-৩২ মেয়াদে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য আসনে বাংলাদেশের প্রার্থিতার প্রতি মিশর সমর্থন জানাবে। মিশরের রাষ্ট্রদূত ইউনেস্কোর মহাপরিচালক পদে কায়রোর প্রার্থিতার পক্ষে ঢাকার সমর্থন চান। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) পুনরায় শুরু করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।


উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে প্রথম এফওসি ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়। তবে দ্বিতীয় এফওসি ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এখনো মুলতবি রয়েছে।