ঢাকা | বঙ্গাব্দ

আদালতের নির্দেশ: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৪জনের মরদেহ উত্তোলন 

নিহতদের শতভাগ পরিচয় শনাক্তের জন্য এবং মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহগুলো উত্তোলন করা হয়।
  • আপলোড তারিখঃ 01-02-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 78921 জন
আদালতের নির্দেশ: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৪জনের মরদেহ উত্তোলন  - ছবি: সংগৃহীত
ad728

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাভারের আশুলিয়ায় নিহত ৪জনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেজে দুপুর পর্যন্ত আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশ ও নিহতদের স্বজনদের উপস্থিতে  ধামসোনা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার করবস্থান থেকে মরদেহগুলো  উত্তোলন করা হয়।


উল্লেখ্য, নিহতদের শতভাগ পরিচয় শনাক্তের জন্য  এবং মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহগুলো উত্তোলন করা হয়।


পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল ১১টার দিকে আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল চাড়ালপাড়া এলাকার একটি কবরস্থান থেকে জাহিদুল ইসলাম সাগর নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে দুপুর ১ টার দিকে আশুলিয়ার ভাদাইল পবনারটেক কবরস্থান থেকে আশরাফুল ইসলাম নামে আরেকজনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।


পুলিশ আরও জানায়, পরে দুপুর আড়াইটার দিকে আশুলিয়ার উত্তর গাজীরচট এলাকার আমবাগান কবরস্থানে দাফনকৃত আবুল হোসেনসহ অজ্ঞাত আরেকজনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।


গণমাধ্যমকে আশুলিয়া থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিক জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আশুলিয়াতে গুলিতে যারা নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল। এদের মধ্যে অনেকের আত্মীয়স্বজন থানায় ও আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে ও নিহতের পরিচয় শনাক্তে আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহগুলো কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।


মরদেহগুলো উত্তোলন শেষে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।




সর্বশেষ সংবাদ
notebook

রমজানে বাজিমাত করতে যাচ্ছে ড.মুহাম্মদ ইউনূস সরকার! ডেস্ক রিপোর্ট বার্তা বাজার ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৬ অপরাহ্ণ 366 Shares facebook sharing buttonmessenger sharing buttonwhatsapp sharing buttontwitter sharing buttonlinkedin sharing buttonprint sharing button আসছে পবিত্র মাহে রমজান। বছরই বাংলাদেশে রমজান মাসের আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে এবং রমজানের সময় তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়। বর্তমানে দেশে সরবরাহে সংকট না থাকলেও কিছু অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশ রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়তি মুনাফা পেতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সীমিত আয়ের মানুষের উপর চাপ বেড়ে যায়।নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অত্যাধিক দাম এবং ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ পরিবারের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে হিমশিম খেতে হয়। নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়া এবং ব্যবসায়ীদের অযৌক্তিক মুনাফা লাভের আশায় তারা পণ্য মজুত করে। বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে। তবে এ বছর আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য ও পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজ করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। রমজান মাসে দ্রব্য মূল্য স্বাভাবিক রাখতে রাষ্ট্রীয় সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ফলে এবার সিন্ডিকেট ভাঙবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসন্ন রমজান ও ঈদ সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রমজানে সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় এবার বাজার স্থিতিশীল ও নিত্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকবে। রমজানের আগেই প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মিয়ানমার, জাপান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চীন, সৌদি আরব এবং তুরস্কসহ প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এছাড়াও ভারত থেকে কিছু পণ্য আমদানি করা হচ্ছে।এরই মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। পবিত্র মাহে রমজান সামনে রেখে মুসলিম দেশ তুরস্কের সাথেও সম্পর্ক বাড়াচ্ছে বর্তমান সরকার। এরই মধ্যে দেশটি থেকে সামরিক সরঞ্জাম এবং পণ্য আমদানি রপ্তানির চুক্তি হয়েছে। এবছর রমজান মাসকে কেন্দ্র করে তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণ ফল আমদানি করছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।