ঢাকা | বঙ্গাব্দ

খুলনার অপসারিত মেয়রের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের টিম গঠন করে কাজ শুরু

গত ২৪ ডিসেম্বর তালুকদার আবদুল খালেকের দুর্নীতি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ২১ জানুয়ারি দুদকের খুলনার উপ-পরিচালক আবদুল ওয়াদুদকে প্রধান করে অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক। গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভা বে কাজ শুরু করেছে।
  • আপলোড তারিখঃ 24-01-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 154636 জন
খুলনার অপসারিত মেয়রের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের টিম গঠন করে কাজ শুরু - ছবি: সংগৃহীত
ad728

এমডি আল মাসুম খান: খুলনা সিটি করপোরেশনের অপসারিত মেয়র ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেকের অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার থেকে দুদক আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ শুরু করেছে। তালুকদার খালেক, তার স্ত্রী হাবিবুন নাহার ও সহযোগীদের তথ্য চেয়ে কেসিসি, আয়কর বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। 


উল্লেখ্য  গত ২৪ ডিসেম্বর তালুকদার আবদুল খালেকের দুর্নীতি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ২১ জানুয়ারি দুদকের খুলনার উপ-পরিচালক আবদুল ওয়াদুদকে প্রধান করে অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক। গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভা বে কাজ শুরু করেছে।


দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার উপ-পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ আনুষ্ঠানিক ভাবে গণমাধ্যমকে জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার আমরা চিঠি পেয়েছি এবং আমরা গতকাল বৃহস্পতিবারই অনুসন্ধান শুরু করেছি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অপসারিত সাবেক মেয়রের দুর্নীতি অনুসন্ধানের জন্য তার সহযোগীদের তথ্যও প্রয়োজন। এজন্য তার ব্যবসায়ীক অংশীদার হিসেবে পরিচিত ঠিকাদারদের তথ্য চেয়ে কেসিসিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া খুলনার মেয়র হয়ে রামপাল, মোংলার জন্য কেসিসির গাড়ি ব্যবহার, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি খুঁজে বের করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। 


দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার তালুকদার খালেক ও তার স্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের আয়কর রিটার্ন, কর নির্ধারণী আদেশসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্রে ছাপালিপি চেয়ে খুলনা কর অঞ্চলের উপ-কর কমিশনার সার্কেল-০৩ এর কাছে চিঠি দেন অনুসন্ধান টিমের প্রধান আবদুল ওয়াদুদ। পাশাপাশি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়ে মেসার্স হোসেন ট্রেডার্স, তাজুল এন্টারপ্রাইজ ও আজাদ ইঞ্জিনিয়ার্সের ঠিকাদারি কাজের যাবতীয় তথ্য, এইচ এম সেলিমের প্রতিটি কাজ ও পরিশোধিত বিলের পরিমাণ, খালিশপুর ১৮ নম্বর রোড উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজের দরপত্র সংক্রান্ত সব রেকর্ড এবং মেয়র হিসেবে দায়িত্বকালীন সময়ে গাড়ির লগ বই চাওয়া হয়েছে। 


দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম বলেন, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতেও বড় ধরনের অনিয়ম হয়েছে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। বিস্তারিত অনুসন্ধান চলছে।


৫ আগস্টের পর থেকে তালুকদার আবদুল খালেক আত্মগোপনে রয়েছেন। অপসারিত মেয়রের বিরুদ্ধে হত্যাসহ এক ডজন মামলা হয়েছে মহানগরী ও খুলনা জেলার বিভিন্ন থানায়। আত্মগোপনে থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।



সর্বশেষ সংবাদ
notebook

জাবিতে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রেম বঞ্চিত সংঘের বিক্ষোভ মিছিল