ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ইটভাটার প্রভাবে ধামরাইয়ে বনাঞ্চল ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন

ইটভাটা থেকে নির্গত কার্বন মনোক্সাইডের প্রভাবে ধামরাই ও এর আশপাশের বনাঞ্চল ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
  • আপলোড তারিখঃ 30-11-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 238048 জন
ইটভাটার প্রভাবে ধামরাইয়ে বনাঞ্চল ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন - ছবি: খবর দিনরাত
ad728

বিশেষ প্রতিবেদন:

রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠে ধামরাই কৃষিনির্ভর উপজেলা। উপজেলাটির বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ফসলি জমির ওপর গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইটভাটা। ইটভাটাগুলোর চিমনি থেকে নির্গত হচ্ছে বিষাক্ত ধোঁয়া। এতে ভুট্টা ও সবজি ক্ষেতে দেখা দিয়েছে মড়ক।


বিশেষ করে ইটভাটা থেকে নির্গত কার্বন মনোক্সাইডের প্রভাবে ধামরাই ও এর আশপাশের বনাঞ্চল ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ইটভাটার প্রভাবে আশপাশে তুলনামূলকভাবে বৃষ্টিপাতও কমে গেছে। এর অন্যতম কারণই হচ্ছে চিমনি দিয়ে নির্গত কালোধোঁয়া প্রবাহিত হওয়া। কালোধোঁয়া এবং অতিরিক্ত কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাসের প্রভাবে আকাশে কোন ধরনের মেঘ পুঞ্জীভূত হতে পারে না বরং আকাশের মেঘকে দূরে সরিয়ে দিয়ে বৃষ্টিপাতে বিঘ্ন ঘটায়।


উপজেলার সোমভাগ, সুতিপাড়া, ধামরাই সদর, সানোড়া, নান্নার, বালিয়া সহ অধিকাংশ ইউনিয়নে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ইটভাটা। এগুলোর অনেকেরই নেই প্রয়োজনীয় অনুমোদন। আর এসব এলাকার চাষি ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইটভাটার কারণে জমিতে কমছে ফলন আর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গাছের ফল ও কুঁড়ি।


তবে ইটভাটা মালিক কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা পরিবেশ সম্মতভাবেই ইট পোড়াচ্ছেন। অপরদিকে, ধামরাই উপজেলা প্রশাসনের বক্তব্য হলো- উন্নয়নের স্বার্থে এখনই পুরোপুরি ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া সম্ভব না। প্রশাসনের তথ্যমতে, এখানে ১৭৫টি ইটভাটা রয়েছে।


অপরদিকে, পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, ইটভাটার মালিকপক্ষ একটু সচেতন হলেই ‘জিগজ্যাগ’ পদ্ধতির মাধ্যমে ইটভাটাকে ধোঁয়াবিহীন ইট কারখানায় রূপান্তরিত করতে পারেন। এতে উপকৃত হবে দেশও জাতি। বেঁচে যাবে অসংখ্য গাছপালাও। কমে আসবে কার্বন নিঃসরণের মাত্রাও। তাতে গড়ে উঠবে সুন্দর সুষ্ঠ পরিবেশ।


প্রতিবেদক: মো: আল মামুন খান



সর্বশেষ সংবাদ
notebook

জাবিতে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রেম বঞ্চিত সংঘের বিক্ষোভ মিছিল