ঢাকা | বঙ্গাব্দ

আশুলিয়ায় নিষিদ্ধ পলিথিনের বাজার বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেই উপজেলা প্রশাসনের

সরেজমিন আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় কাঁচাবাজার আড়ত সংলগ্ন পলিথিনের ওই বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অসংখ্য দোকানে প্রকাশ্যে থরে থরে সাজানো রয়েছে বাহারি রঙ এর নিষিদ্ধ পলিথিন।
  • আপলোড তারিখঃ 21-01-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 166410 জন
আশুলিয়ায় নিষিদ্ধ পলিথিনের বাজার বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেই উপজেলা প্রশাসনের - ছবি: খবর দিনরাত
ad728

মো: আল মামুন খান :  ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় কাঁচাবাজার আড়তের পাশে  গড়ে উঠেছে নিষিদ্ধ পলিথিনের বাজার। এর ঠিক পাঁচ মিনিট দূরত্বে রয়েছে আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি)  ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর কার্যালয়। অপরদিকে, সুপারশপের পর গত ১লা নভেম্বর ২০২৪ তারিখ থেকে কাঁচা বাজারেও পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পলিথিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। তবে এব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি সাভার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।


সরেজমিন আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় কাঁচাবাজার আড়ত সংলগ্ন পলিথিনের ওই বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অসংখ্য দোকানে প্রকাশ্যে থরে থরে সাজানো রয়েছে বাহারি রঙ এর নিষিদ্ধ পলিথিন। এসব দোকানে মূলত পাইকারি বিক্রি করলেও যে কেউ এসে খুচরা হিসেবে প্রয়োজনীয় পরিমাণ এখান থেকে কিনে নিয়ে যেতে পারে। সরকারের এই পলিথিন নিষিদ্ধকরণ বিষয়টি বাইপাইলের এই বাজারে এসে  প্রকাশ্যে তাদের বিপণন দেখলে যে কেউ ভিরমি খাবে। পলিথিন নিষিদ্ধকরণ আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই বাজারে চরম ঔদ্ধত্য প্রকাশ করছে পলিথিন বিক্রেতারা।


এদিকে, এই বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নলীর খাল। সরেজমিন এই খালের পাশে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচাবাজার এবং মাছের আড়ত এর সকল ব্যবহৃত পলিথিন ফেলা হয় এই খালে। ফলে পানি দূষিত হবার পাশাপাশি সকল পলিথিন জড়ো হয়ে রুদ্ধ করে ফেলছে এর প্রবাহ। তাতে করে বর্ষা মৌসুমে এই অঞ্চলের অতিরিক্ত পানি বের হবার একমাত্র খালটি সংকীর্ণ হওয়ায় প্লাবিত হচ্ছে আশুলিয়ার এই অঞ্চল। আর জলাবদ্ধতা না কমায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে বাধ্য হচ্ছে এই এলাকার জনগণ।


বিষয়টি জানতে চেয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আবু বকর সরকার এর মুঠোফোনে কল দেয়া হয়। কিন্তু তিনি দেশের বাইরে থাকায় পলিথিনের বাজার বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তার বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায় নাই।


তবে আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি)  ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া ইসলাম নিষিদ্ধ পলিথিনের বাজার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। 


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এর হোয়াটস অ্যাপে বাইপাইলের এই পলিথিনের বাজারের সচিত্র ডকুমেন্টস প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি এবিষয়ে সেখানে কোনো মন্তব্য করেন নাই।


প্রসঙ্গত, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে অন্তর্বর্তীকালীন  সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেছিলেন, পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ কার্যক্রমে কাঁচা বাজার ও পলিথিন উৎপাদন কারখানায় অভিযান চালানো হবে। তবে পরবর্তীতে সাভারে এই কার্যক্রমের ছিটেফোঁটাও পরিলক্ষিত হয়নি।


বিশেষজ্ঞদের মতে, পলিথিন এমন একটা পণ্য যা মাটির মধ্যে মেশে না, পানিতেও গলে না। ফলে মাটি ও পানি দূষণের এটা অন্যতম কারণ। এর ব্যাপক ব্যবহার এবং যত্রতত্র তা ফেলার ফলে রাস্তা-ঘাট, বাসা-বাড়ি সর্বত্র আবর্জনা সৃষ্টির একটি কারণ হিসেবে বিবেচিত। স্যুয়ারেজ লাইন আটকে যাওয়া, জলাবদ্ধতা ইত্যাদির অন্যতম কারণও এ ধরনের পলিথিন।



সর্বশেষ সংবাদ
notebook

রমজানে বাজিমাত করতে যাচ্ছে ড.মুহাম্মদ ইউনূস সরকার! ডেস্ক রিপোর্ট বার্তা বাজার ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৬ অপরাহ্ণ 366 Shares facebook sharing buttonmessenger sharing buttonwhatsapp sharing buttontwitter sharing buttonlinkedin sharing buttonprint sharing button আসছে পবিত্র মাহে রমজান। বছরই বাংলাদেশে রমজান মাসের আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে এবং রমজানের সময় তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়। বর্তমানে দেশে সরবরাহে সংকট না থাকলেও কিছু অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশ রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়তি মুনাফা পেতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সীমিত আয়ের মানুষের উপর চাপ বেড়ে যায়।নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অত্যাধিক দাম এবং ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ পরিবারের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে হিমশিম খেতে হয়। নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়া এবং ব্যবসায়ীদের অযৌক্তিক মুনাফা লাভের আশায় তারা পণ্য মজুত করে। বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে। তবে এ বছর আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য ও পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজ করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। রমজান মাসে দ্রব্য মূল্য স্বাভাবিক রাখতে রাষ্ট্রীয় সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ফলে এবার সিন্ডিকেট ভাঙবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসন্ন রমজান ও ঈদ সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রমজানে সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় এবার বাজার স্থিতিশীল ও নিত্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকবে। রমজানের আগেই প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মিয়ানমার, জাপান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চীন, সৌদি আরব এবং তুরস্কসহ প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এছাড়াও ভারত থেকে কিছু পণ্য আমদানি করা হচ্ছে।এরই মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। পবিত্র মাহে রমজান সামনে রেখে মুসলিম দেশ তুরস্কের সাথেও সম্পর্ক বাড়াচ্ছে বর্তমান সরকার। এরই মধ্যে দেশটি থেকে সামরিক সরঞ্জাম এবং পণ্য আমদানি রপ্তানির চুক্তি হয়েছে। এবছর রমজান মাসকে কেন্দ্র করে তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণ ফল আমদানি করছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।

notebook

জাবিতে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রেম বঞ্চিত সংঘের বিক্ষোভ মিছিল