এমডি আল মাসুম খান: সরকারের দেওয়া নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের কাছে অতিরিক্ত বই অথবা সহায়ক বই (গাইড) বিক্রি করা নিষিদ্ধ হলেও সেই আদেশ মানছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। অনেকটা প্রকাশ্যেই শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ গাইড বই কিনতে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের ২০২৫ সালের সরকারি বিনামূল্যে দেয়া বইয়ের মধ্যে এই প্রতিবেদন লেখার সময়ের পর্যন্ত ৩/৪ টি বই দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই বিভিন্ন বই প্রকাশনী কোম্পানির প্রতিনিধিরা খুলনা মহানগরী ও জেলায় অবস্থিত বিদ্যালয়ে তাদের গাইড বইয়ের চটকদারি প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এ ক্ষেত্রে লেনদেন হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বই প্রকাশনী ৩৬ কোম্পানি গুলোর কাছ থেকে বই কিনে তা পূর্বের মতো নিজ নিজ স্কুলেই বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায় বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষকদের চাপিয়ে দেওয়া এসব অতিরিক্ত বই নিজেদের সন্তানদের পড়াতে এক প্রকার বাধ্য হচ্ছেন তারা।
দীর্ঘ অনুসন্ধানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত ২০২৪ সালে খুলনার অধিকাংশ সরকারি, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ খুলনা মহানগর ও জেলার প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নোটিশ জারি করা হয়।
নোটিশে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তাদের পছন্দ করা নিষিদ্ধ গাইড বই কিনতে শিক্ষার্থীদের হাতে তালিকা তুলে দেন। কোন কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান আবার নিজেরাই বই কোম্পানি গুলোর কাছ থেকে বই কিনে তা প্রতিষ্ঠানেই বিক্রি করছেন।
সরকারি ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা মিলেছে শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ গাইড বই। শুধু জেলা শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতেই নয়, উপজেলা শহরের চিত্রগুলোও আরও ভয়াবহ। সরকারি নীতিমালা অমান্য করে অতিরিক্ত বই কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের চাপিয়ে দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিষিদ্ধ বই বিক্রি তো ফৌজদারি অপরাধ।