ঢাকা | বঙ্গাব্দ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দুই-এক বছর দেখতে চাই : নুর

নুরুল হক নুর বলেন, ‘অবশ্য সরকারকে ক্ষমতায় থাকার প্রশ্নে আমরা ব্ল্যাংক চেক দেবো না। পরিষ্কারভাবে সরকারকে আমরা বলে দিতে চাই, আমরা আপনাদের পারফরমেন্সের ওপর অটো রি-নিউয়াল সময় দেবো।
  • আপলোড তারিখঃ 22-11-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 96460 জন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দুই-এক বছর দেখতে চাই : নুর - ছবি: সংগৃহীত
ad728

ডেস্ক রিপোর্ট: গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমরা ৫৩ বছর দেখেছি। কাজেই আর দুই-এক বছর প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দেখতে চাই। তারা কি কি করে। আমাদের বিশ্বাস, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যে আন্তর্জাতিক পরিচিতি, দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে টেনে তুলতে পারবেন। তিনি ছয়টি কমিশন করে দিয়েছেন। যে সংস্কার ছিল এ গণ-আন্দোলনের গণ আকাঙ্ক্ষা। এ সংস্কার ব্যতীত কোনো নির্বাচন হবে না।’


শুক্রবার (২২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘির ময়দানে আয়োজিত তারুণ্যের গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নুরুল হক নুর বলেন, ‘অবশ্য সরকারকে ক্ষমতায় থাকার প্রশ্নে আমরা ব্ল্যাংক চেক দেবো না। পরিষ্কারভাবে সরকারকে আমরা বলে দিতে চাই, আমরা আপনাদের পারফরমেন্সের ওপর অটো রি-নিউয়াল সময় দেবো। অর্থাৎ আপনারা ভালো কাজ করবেন, আমাদের সমর্থন পাবেন। জনবিরোধী কর্মকাণ্ড করলে, জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে, এক সেকেন্ডও সময় দেব না।’


নুর বলেন, ‘দুই-একটি রাজনৈতিক দল চায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর পাড়ি দিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসবে, আর আমরা কি আঙুল…। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নাম যারা মুখে নেবে, তাদের প্রতিহত করতে হবে।’


তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে আমরা প্রয়োজনে ঢাকায় মহাসমাবেশ করবো। আপনাদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘এমপি-মন্ত্রী হতে পারবো কিনা সেটা তো আমরা জানি না। আর আমরা এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য চাঁদাবাজি, ধান্ধাবাজিও করার জন্য রাজপথে নামি নাই, সংগ্রাম করি নাই। জনগণের প্রত্যাশা নতুন বাংলাদেশ। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার জন্যই গণঅধিকার পরিষদসহ ছাত্র-জনতা কাজ করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পক্ষে যারা অবস্থান নেবেন, আমরা বলতে চাই তারা ফ্যাসিবাদের দোসর। বলতে পারি, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন ঠেকানোর জন্য আবার যদি কোনো বিপ্লবের ডাক দিতে হয়, এই চট্টগ্রামের মাটি থেকেই যেন তা শুরু হয়।’ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খানসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।



সর্বশেষ সংবাদ
notebook

রমজানে বাজিমাত করতে যাচ্ছে ড.মুহাম্মদ ইউনূস সরকার! ডেস্ক রিপোর্ট বার্তা বাজার ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৬ অপরাহ্ণ 366 Shares facebook sharing buttonmessenger sharing buttonwhatsapp sharing buttontwitter sharing buttonlinkedin sharing buttonprint sharing button আসছে পবিত্র মাহে রমজান। বছরই বাংলাদেশে রমজান মাসের আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে এবং রমজানের সময় তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়। বর্তমানে দেশে সরবরাহে সংকট না থাকলেও কিছু অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশ রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়তি মুনাফা পেতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সীমিত আয়ের মানুষের উপর চাপ বেড়ে যায়।নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অত্যাধিক দাম এবং ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ পরিবারের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে হিমশিম খেতে হয়। নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়া এবং ব্যবসায়ীদের অযৌক্তিক মুনাফা লাভের আশায় তারা পণ্য মজুত করে। বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে। তবে এ বছর আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য ও পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজ করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। রমজান মাসে দ্রব্য মূল্য স্বাভাবিক রাখতে রাষ্ট্রীয় সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ফলে এবার সিন্ডিকেট ভাঙবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসন্ন রমজান ও ঈদ সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রমজানে সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় এবার বাজার স্থিতিশীল ও নিত্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকবে। রমজানের আগেই প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মিয়ানমার, জাপান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চীন, সৌদি আরব এবং তুরস্কসহ প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এছাড়াও ভারত থেকে কিছু পণ্য আমদানি করা হচ্ছে।এরই মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। পবিত্র মাহে রমজান সামনে রেখে মুসলিম দেশ তুরস্কের সাথেও সম্পর্ক বাড়াচ্ছে বর্তমান সরকার। এরই মধ্যে দেশটি থেকে সামরিক সরঞ্জাম এবং পণ্য আমদানি রপ্তানির চুক্তি হয়েছে। এবছর রমজান মাসকে কেন্দ্র করে তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণ ফল আমদানি করছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।

notebook

জাবিতে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রেম বঞ্চিত সংঘের বিক্ষোভ মিছিল