ঢাকা | বঙ্গাব্দ

না ফেরার দেশে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু

জাকারিয়া পিন্টু স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের নেতৃত্ব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় ফুটবলের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। ভারতে অনুষ্ঠিত সেই প্রদর্শনী ম্যাচগুলো মুক্তিযুদ্ধের অর্থসংস্থানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল। এটি বিশ্ব ক্রীড়ার ইতিহাসে বিরল এক দৃষ্টান্ত।
  • আপলোড তারিখঃ 18-11-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 82205 জন
না ফেরার দেশে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু - জাকারিয়া পিন্টু। ছবি : সংগৃহীত
ad728

ডেস্ক রিপোর্ট: স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের কিংবদন্তি অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু আর নেই। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ১১টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার ছেলের স্ত্রী এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সহঅধিনায়ক প্রতাপ শঙ্কর হাজরা।


৮১ বছর বয়সী জাকারিয়া পিন্টু বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা ও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। গতকাল হঠাৎ বাসায় পড়ে যাওয়ার পর তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে হাসপাতালে তার শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি হচ্ছিল। আজ কিডনি সমস্যার কারণে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের পরিকল্পনা থাকলেও তার আগেই তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।


স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সহঅধিনায়ক প্রতাপ শঙ্কর হাজরা পিন্টুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘পিন্টু ভাই শুধু খেলার মাঠেই নয়, জীবনের সব ক্ষেত্রেই আমার অধিনায়ক ছিলেন। এত দ্রুত তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন ভাবতেই পারিনি।’


জাকারিয়া পিন্টু স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের নেতৃত্ব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় ফুটবলের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। ভারতে অনুষ্ঠিত সেই প্রদর্শনী ম্যাচগুলো মুক্তিযুদ্ধের অর্থসংস্থানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল। এটি বিশ্ব ক্রীড়ার ইতিহাসে বিরল এক দৃষ্টান্ত।


পিন্টুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দল প্রথম আন্তর্জাতিক মঞ্চে আত্মপ্রকাশ করে ১৯৭৩ সালে মালয়েশিয়ায় মারদেকা কাপে। ষাট ও সত্তরের দশকে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে তিনি মাঠ কাঁপিয়েছেন এবং সেই সময় মোহামেডানের অধিনায়ক হিসেবে ছিলেন অত্যন্ত সফল। পাকিস্তান দলে খেলার মধ্য দিয়ে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন।


খেলোয়াড়ি জীবন শেষে জাকারিয়া পিন্টু মোহামেডান ক্লাব ও ফুটবল ফেডারেশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদেও তিনি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। তার অবদান ক্রীড়াঙ্গন ও জাতির জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।


তার চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ক্রীড়াঙ্গন হারাল এক অনন্য ব্যক্তিত্বকে, যিনি শুধু ফুটবলে নয়, জাতির স্বপ্ন ও সংগ্রামের প্রতীক হয়ে থাকবেন।



সর্বশেষ সংবাদ
notebook

রমজানে বাজিমাত করতে যাচ্ছে ড.মুহাম্মদ ইউনূস সরকার! ডেস্ক রিপোর্ট বার্তা বাজার ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৬ অপরাহ্ণ 366 Shares facebook sharing buttonmessenger sharing buttonwhatsapp sharing buttontwitter sharing buttonlinkedin sharing buttonprint sharing button আসছে পবিত্র মাহে রমজান। বছরই বাংলাদেশে রমজান মাসের আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে এবং রমজানের সময় তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়। বর্তমানে দেশে সরবরাহে সংকট না থাকলেও কিছু অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশ রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়তি মুনাফা পেতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সীমিত আয়ের মানুষের উপর চাপ বেড়ে যায়।নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অত্যাধিক দাম এবং ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ পরিবারের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে হিমশিম খেতে হয়। নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়া এবং ব্যবসায়ীদের অযৌক্তিক মুনাফা লাভের আশায় তারা পণ্য মজুত করে। বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে। তবে এ বছর আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য ও পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজ করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। রমজান মাসে দ্রব্য মূল্য স্বাভাবিক রাখতে রাষ্ট্রীয় সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ফলে এবার সিন্ডিকেট ভাঙবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসন্ন রমজান ও ঈদ সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রমজানে সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় এবার বাজার স্থিতিশীল ও নিত্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকবে। রমজানের আগেই প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মিয়ানমার, জাপান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চীন, সৌদি আরব এবং তুরস্কসহ প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এছাড়াও ভারত থেকে কিছু পণ্য আমদানি করা হচ্ছে।এরই মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। পবিত্র মাহে রমজান সামনে রেখে মুসলিম দেশ তুরস্কের সাথেও সম্পর্ক বাড়াচ্ছে বর্তমান সরকার। এরই মধ্যে দেশটি থেকে সামরিক সরঞ্জাম এবং পণ্য আমদানি রপ্তানির চুক্তি হয়েছে। এবছর রমজান মাসকে কেন্দ্র করে তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণ ফল আমদানি করছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।

notebook

জাবিতে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রেম বঞ্চিত সংঘের বিক্ষোভ মিছিল