ঢাকা | বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা সংকট কক্সবাজারের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে’

অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কক্সবাজার কমিউনিটি অ্যালায়েন্স ফর ডেভেলপমেন্ট (CCAD)। উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।
  • আপলোড তারিখঃ 24-11-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 97642 জন
রোহিঙ্গা সংকট কক্সবাজারের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে’ - ছবি: সংগৃহীত
ad728

ডেস্ক রিপোর্ট: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট কক্সবাজারের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এই সংকট সমাধানে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি, কক্সবাজার ডেভেলপমেন্ট অথোরিটিকে পুরো জেলার উন্নয়ন পরিকল্পনায় যুক্ত করতে হবে।


শনিবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘কক্সবাজার সংলাপ: যুক্তির তীরে সম্ভাবনার আলো’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, ইতিহাসবিদ আলতাফ পারভেজ, সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর যুবাইর এহছানুল হক, সমাজকল্যাণ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মাহবুবা সুলতানা, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর কে এম আজম চৌধুরী, স্থপতি এহছান খান এবং স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক মনজুর সাদিক প্রমুখ।


এএফ হাসান আরিফ বলেন, ‘কক্সবাজারের টেকসই উন্নয়নে স্থানীয় সক্ষমতাকে কাজে লাগানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যটনশিল্পের বিপুল সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পরিকল্পিত উদ্যোগ প্রয়োজন। তবে পর্যটন বিকাশের জন্য প্রকৃতি ধ্বংস নয়; বরং স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিবেশ রক্ষা করেই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।’


উদ্বোধনী বক্তব্যে অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘কক্সবাজার শুধুমাত্র বাংলাদেশের একটি অঞ্চল নয়; এর গুরুত্ব আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রসারিত। সমুদ্র অর্থনীতি ও পর্যটনশিল্প কেন্দ্রিক উন্নয়ন কক্সবাজারকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। এই অঞ্চলের ভৌগোলিক, ঐতিহাসিক এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে।’


অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে কক্সবাজারের টেকসই উন্নয়ন নিয়ে প্রতীকী বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকায় অধ্যয়নরত কক্সবাজারের ছাত্র-ছাত্রীরা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে অংশ নেন। দ্বিতীয় পর্বে কক্সবাজারের উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং ভবিষ্যৎ নির্ধারণ নিয়ে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।


দিনব্যাপী এই সংলাপে ঢাকাস্থ কক্সবাজারের পেশাজীবী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে স্থানীয় উন্নয়ন, নিরাপত্তা, ভূ-রাজনীতি এবং দুর্যোগ মোকাবিলার মতো বিষয়গুলো উঠে আসে। আয়োজকরা আশা করেন, এই সংলাপ কক্সবাজারের টেকসই উন্নয়নের সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।


অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কক্সবাজার সংলাপের আহ্বায়ক মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম।




সর্বশেষ সংবাদ
notebook

রমজানে বাজিমাত করতে যাচ্ছে ড.মুহাম্মদ ইউনূস সরকার! ডেস্ক রিপোর্ট বার্তা বাজার ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৬ অপরাহ্ণ 366 Shares facebook sharing buttonmessenger sharing buttonwhatsapp sharing buttontwitter sharing buttonlinkedin sharing buttonprint sharing button আসছে পবিত্র মাহে রমজান। বছরই বাংলাদেশে রমজান মাসের আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে এবং রমজানের সময় তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়। বর্তমানে দেশে সরবরাহে সংকট না থাকলেও কিছু অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশ রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়তি মুনাফা পেতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সীমিত আয়ের মানুষের উপর চাপ বেড়ে যায়।নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অত্যাধিক দাম এবং ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ পরিবারের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে হিমশিম খেতে হয়। নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়া এবং ব্যবসায়ীদের অযৌক্তিক মুনাফা লাভের আশায় তারা পণ্য মজুত করে। বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে। তবে এ বছর আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য ও পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজ করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। রমজান মাসে দ্রব্য মূল্য স্বাভাবিক রাখতে রাষ্ট্রীয় সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ফলে এবার সিন্ডিকেট ভাঙবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসন্ন রমজান ও ঈদ সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রমজানে সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় এবার বাজার স্থিতিশীল ও নিত্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকবে। রমজানের আগেই প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মিয়ানমার, জাপান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চীন, সৌদি আরব এবং তুরস্কসহ প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এছাড়াও ভারত থেকে কিছু পণ্য আমদানি করা হচ্ছে।এরই মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। পবিত্র মাহে রমজান সামনে রেখে মুসলিম দেশ তুরস্কের সাথেও সম্পর্ক বাড়াচ্ছে বর্তমান সরকার। এরই মধ্যে দেশটি থেকে সামরিক সরঞ্জাম এবং পণ্য আমদানি রপ্তানির চুক্তি হয়েছে। এবছর রমজান মাসকে কেন্দ্র করে তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণ ফল আমদানি করছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।

notebook

জাবিতে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রেম বঞ্চিত সংঘের বিক্ষোভ মিছিল