ঢাকা | বঙ্গাব্দ

২৫ বছর পর জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন হচ্ছে

ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে অ্যাসোসিয়েশন ছিল কিছু মানুষের হাতে কুক্ষিগত। এবার ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হওয়ায় বহুদিন পর অ্যাসোসিয়েশনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরে এসেছে।
  • আপলোড তারিখঃ 30-10-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 4542 জন
২৫ বছর পর জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন হচ্ছে - লোগো: বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন
ad728

ডেস্ক রিপোর্ট: অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ে গঠিত পেশাদার সংগঠন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন বুধবার (৩০ অক্টোবর) শুরু হবে।


আজ বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাজধানীর আব্দুল গণি রোডে জুডিশিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে এ ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আইন সচিব শেখ আবু তাহের এ নির্বাচনী কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এ ভোটগ্রহণ চলবে।


২৫ বছর পর অনুষ্ঠেয় অ্যাসোসিয়েশনের এ ভোট নিয়ে বিচারকদের আগ্রহের শেষ নেই। শত শত বিচারক উপস্থিত হয়ে আজ ভোট প্রদান করবেন।


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে অ্যাসোসিয়েশন ছিল কিছু মানুষের হাতে কুক্ষিগত। এবার ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হওয়ায় বহুদিন পর অ্যাসোসিয়েশনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরে এসেছে।


অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন পরিচালনা করবেন চার সদস্যের নির্বাচন কমিশন। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাসরিন জাহান, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান ও নাটোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শানু আকন্দ।


এ দিকে অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনকে ঘিরে সারা দেশের বিচারকদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে অনলাইনে নির্বাচনের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।


জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হেলাল উদ্দিনসহ কমিটির সব সদস্য পদত্যাগ করেন। এজন্য ইয়াং জাজেস ফর জুডিশিয়াল রিফর্ম-এর সমন্বয়ক ও উপদেষ্টারা সার্ভিসের সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা করে গত ২১ আগস্ট একটি অন্তর্বর্তী নির্বাহী কমিটি গঠন করেছেন। যাদের আগামী ১৫ দিনের মধ্যে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচনের মাধ্যমে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে বলা হয়।


অন্তর্বর্তী কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-৪, চট্টগ্রামের বিচারক মো. জাকির হোসেন গালিব। আর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ফারুক। সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২ এর বিচারক মো. নুরে আলম (জিকু) এবং নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ উম্মে শরাবন তহুরা। কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক টাঙ্গাইলের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ লায়লা শারমিন।


এ ছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রিসার্চ অ্যান্ড রেফারেন্স অফিসার (যুগ্ম জেলা জজ) আবুল কালাম আজাদ, নোয়াখালী জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন, কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্বাস উদ্দীন, টাঙ্গাইলের সিনিয়র সহকারী জজ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, রংপুরের জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) মো. মিনহাজুর রহমান, জামালপুরের সিনিয়র সহকারী জজ মোহাম্মদ শিহাব উদ্দীন, বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান, নোয়াখালীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজ্জাদ হোসেন, বাগেরহাটের সহকারী জজ মো. তুহিনুল ইসলাম, গাইবান্ধার সহকারী জজ আবু তাহের এবং নরসিংদীর সহকারী জজ মো. মেহেদী হাছান।