ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ছাত্র হত্যা মামলার আসামী হয়েও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান শিমুলিয়ার 'বাবুল মাস্টার'!

কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে আশুলিয়া থানার পুলিশ এবিষয়ে রহস্যজনক নীরব ভূমিকা পালন করায় ছাত্র হত্যা মামলার বাদী, আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত আহত ও নিহতদের পরিবার এবং সাধারণ মানুষ যারপরনাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
  • আপলোড তারিখঃ 07-01-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 110750 জন
ছাত্র হত্যা মামলার আসামী হয়েও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান শিমুলিয়ার 'বাবুল মাস্টার'! - ছবি: খবর দিনরাত
ad728

নিজস্ব প্রতিবেদক:  ঢাকার সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের গত দুই যুগ ধরে সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত রকিবুল ইসলাম। যিনি 'বাবুল মাস্টার' নামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহ সকল কর্মীদের কাছে পরিচিত। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যার দায়ে আশুলিয়া থানায় দায়ের করা দুইটি মামলার একটিতে (মামলা নং ৪৫) ১ নম্বর আসামী এবং অপরটিতে (মামলা নং-৩৪/৫৫০) ২১ নম্বর আসামী হলেও জামিন ছাড়াই বহাল তবিয়তে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান তিনি। 


কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে আশুলিয়া থানার পুলিশ এবিষয়ে রহস্যজনক নীরব ভূমিকা পালন করায় ছাত্র হত্যা মামলার বাদী, আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত আহত ও নিহতদের পরিবার এবং সাধারণ মানুষ যারপরনাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।


এই প্রতিবেদকের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেন মামলা দু'টির বাদী এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত এলাকাবাসী। তারা বাবুল মাস্টারের এভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ততায় চরম হতাশা ব্যক্ত করেন।


স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা পলাতক ও গা ঢাকা দিলেও শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রকিবুল ইসলাম ওরফে বাবুল মাস্টার ৫ আগস্টের পর সাময়িক নিশ্চুপ থাকলেও, এখন অনেকটা বেপরোয়া। দুইটি হত্যা মামলার আসামী, অথচ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে না! অনেকটা নির্ভয়ে তিনি গোপনে সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষ হয়ে আশুলিয়ায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করার জন্য কাজ করছেন। পাশাপাশি, গত ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ কে কেন্দ্র করে বাড়ইপাড়া, কবিরপুর এবং জিরানি এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সংগঠিত হওয়ার প্রচেষ্টাও চালিয়েছেন তিনি।


বিকেএসপি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর একজন শিক্ষক হয়েও তিনি আওয়ামী লীগ আমলে তার এলাকার সকল কল-কারখানার ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। নবীনগর সংলগ্ন ডিওএইচএস এলাকায় তার রয়েছে ফ্ল্যাট। এছাড়াও রয়েছে নামে-বেনামে অনেক সম্পত্তি। এসকল সম্পত্তি সব অনৈতিক পথে অর্জিত যা তিনি আওয়ামী লীগ আমলে দলীয় পদ বাণিজ্য দ্বারা এবং বিভিন্ন টেন্ডারবাজির মাধ্যমে করেছেন। এমন একজন মানুষ কীভাবে এখনো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহাল তবিয়তে আছেন এব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।


তবে এবিষয়ে বিকেএসপি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ জানান, দুই মাস আগে বাবুল মাস্টার তার পদ থেকে রিজাইন দিয়েছেন এবং এরপর আর তিনি এই প্রতিষ্ঠানে আসেন নাই।


এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির জানান, আমাদের ইউনিয়ন পর্যায়ে থানার বিট অফিসারকে বলা আছে, তাদের সুস্পষ্ট  নির্দেশনাও দেয়া আছে যে হত্যা মামলার আসামীর খোঁজ পাওয়া গেলেই তাকে গ্রেফতার করার জন্য। আর রকিবুল ইসলামের কোনো খোঁজ পাওয়া গেলে আমাকে তথ্য দিলে আমি ব্যবস্থা নিতে পারবো।এবিষয়ে আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।




সর্বশেষ সংবাদ