ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ভারতে বাংলাদেশ মিশনে হামলার ঘটনায় কী বলছে আমেরিকা

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে সব পক্ষ তাদের মধ্যকার বিরোধ সমাধান করবে।
  • আপলোড তারিখঃ 11-12-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 43100 জন
ভারতে বাংলাদেশ মিশনে হামলার ঘটনায় কী বলছে আমেরিকা - ছবি: সংগৃহীত
ad728

ডেস্ক রিপোর্ট: সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে নানা প্রশ্ন করা হয় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে। এবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে ভারতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার বিষয়টি উঠে এসেছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।


ব্রিফিংয়ে জানতে চাওয়া হয়, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশ সফর করেছেন। বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের একটি কূটনৈতিক মিশনে সহিংস হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ হামলার ঘটনা এবং বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে ভারতের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী বক্তব্য নিয়ে আপনার কোনো মন্তব্য আছে কিনা।


জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে সব পক্ষ তাদের মধ্যকার বিরোধ সমাধান করবে।


এর আগে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত সহিংসতার বিষয়টি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে উঠে আসে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উর্দু ও হিন্দিভাষী মুখপাত্র মার্গারেট ম্যাকলিয়ডের ব্রিফিংয়ে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে সংখ্যালঘু, বিশেষত হিন্দুদের প্রতি সহিংসতার বিষয়টি নিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যমের খবরকে বারবার অতিরঞ্জন বলে আসছেন। এরই মধ্যে বিষয়টি আবারও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আলোচনায় উঠে এসেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ থেকে পাওয়া খবরের (সংখ্যালঘুদের বিচার) ব্যাপারে দপ্তরের পক্ষ থেকে আবারও গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে।


জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা আশা করছি, অঞ্চলের প্রতিটি ব্যক্তি তাদের ধর্ম ও বিশ্বাস অনুযায়ী জীবনযাপন করতে পারবে।


তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারসহ তার অংশীজনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।



সর্বশেষ সংবাদ
notebook

রমজানে বাজিমাত করতে যাচ্ছে ড.মুহাম্মদ ইউনূস সরকার! ডেস্ক রিপোর্ট বার্তা বাজার ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৬ অপরাহ্ণ 366 Shares facebook sharing buttonmessenger sharing buttonwhatsapp sharing buttontwitter sharing buttonlinkedin sharing buttonprint sharing button আসছে পবিত্র মাহে রমজান। বছরই বাংলাদেশে রমজান মাসের আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে এবং রমজানের সময় তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়। বর্তমানে দেশে সরবরাহে সংকট না থাকলেও কিছু অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশ রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়তি মুনাফা পেতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সীমিত আয়ের মানুষের উপর চাপ বেড়ে যায়।নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অত্যাধিক দাম এবং ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ পরিবারের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে হিমশিম খেতে হয়। নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়া এবং ব্যবসায়ীদের অযৌক্তিক মুনাফা লাভের আশায় তারা পণ্য মজুত করে। বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে। তবে এ বছর আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য ও পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজ করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। রমজান মাসে দ্রব্য মূল্য স্বাভাবিক রাখতে রাষ্ট্রীয় সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ফলে এবার সিন্ডিকেট ভাঙবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসন্ন রমজান ও ঈদ সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রমজানে সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় এবার বাজার স্থিতিশীল ও নিত্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকবে। রমজানের আগেই প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মিয়ানমার, জাপান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চীন, সৌদি আরব এবং তুরস্কসহ প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এছাড়াও ভারত থেকে কিছু পণ্য আমদানি করা হচ্ছে।এরই মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। পবিত্র মাহে রমজান সামনে রেখে মুসলিম দেশ তুরস্কের সাথেও সম্পর্ক বাড়াচ্ছে বর্তমান সরকার। এরই মধ্যে দেশটি থেকে সামরিক সরঞ্জাম এবং পণ্য আমদানি রপ্তানির চুক্তি হয়েছে। এবছর রমজান মাসকে কেন্দ্র করে তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণ ফল আমদানি করছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।