ঢাকা | বঙ্গাব্দ

রোকেয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নারীদের প্রতি আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ড. ইউনূস বলেন, নারী জাগরণের পথিকৃৎ, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজসংস্কারক মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার অবদান অবিস্মরণীয়।
  • আপলোড তারিখঃ 09-12-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 126940 জন
রোকেয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নারীদের প্রতি আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার - ছবি: সংগৃহীত
ad728

ডেস্ক রিপোর্ট: সমাজের সুবিধাবঞ্চিত, নির্যাতিত ও অসহায় নারীদের অবস্থার উন্নয়নে কাজ করে বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে নারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।


সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) ‘বেগম রোকেয়া দিবস’ ও ‘বেগম রোকেয়া পদক প্রদান’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি বেগম রোকেয়ার মতো নারীরা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত, নির্যাতিত ও অসহায় নারীদের অবস্থা ও অবস্থান উন্নয়নে কাজ করে বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে।’


ড. ইউনূস বলেন, নারী জাগরণের পথিকৃৎ, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজসংস্কারক মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার অবদান অবিস্মরণীয়। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ‘বেগম রোকেয়া দিবস-২০২৪’ পালিত হচ্ছে। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বেগম রোকেয়া ঊনবিংশ শতাব্দীর কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের চার দেয়ালে আবদ্ধ থেকে তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আজ একবিংশ শতাব্দীতে এসে আমরা তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখতে পাই।


এরই ধারাবাহিকতায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে প্রফেসর ইউনূস বলেন, নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কর্মজীবী হোস্টেলের মাধ্যমে কর্মজীবী নারীদের নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিশোরীদের বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা অব্যাহত রয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সেল, নারী পাচাররোধ, ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার (১০৯), ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টারসহ নানাবিধ কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।


বেগম রোকেয়ার কর্ম ও আদর্শের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে নারীদের উন্নয়নে নিজেদের সম্পৃক্ত করায় বেগম রোকেয়া পদক প্রাপ্তদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান তিনি। প্রধান উপদেষ্টা ‘বেগম রোকেয়া দিবস-২০২৪’ ও ‘বেগম রোকেয়া পদক প্রদান-২০২৪’ অনুষ্ঠানের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।



সর্বশেষ সংবাদ
notebook

রমজানে বাজিমাত করতে যাচ্ছে ড.মুহাম্মদ ইউনূস সরকার! ডেস্ক রিপোর্ট বার্তা বাজার ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৬ অপরাহ্ণ 366 Shares facebook sharing buttonmessenger sharing buttonwhatsapp sharing buttontwitter sharing buttonlinkedin sharing buttonprint sharing button আসছে পবিত্র মাহে রমজান। বছরই বাংলাদেশে রমজান মাসের আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে এবং রমজানের সময় তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়। বর্তমানে দেশে সরবরাহে সংকট না থাকলেও কিছু অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশ রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়তি মুনাফা পেতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সীমিত আয়ের মানুষের উপর চাপ বেড়ে যায়।নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অত্যাধিক দাম এবং ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ পরিবারের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে হিমশিম খেতে হয়। নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়া এবং ব্যবসায়ীদের অযৌক্তিক মুনাফা লাভের আশায় তারা পণ্য মজুত করে। বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে। তবে এ বছর আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য ও পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজ করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। রমজান মাসে দ্রব্য মূল্য স্বাভাবিক রাখতে রাষ্ট্রীয় সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ফলে এবার সিন্ডিকেট ভাঙবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসন্ন রমজান ও ঈদ সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রমজানে সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় এবার বাজার স্থিতিশীল ও নিত্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকবে। রমজানের আগেই প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মিয়ানমার, জাপান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চীন, সৌদি আরব এবং তুরস্কসহ প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এছাড়াও ভারত থেকে কিছু পণ্য আমদানি করা হচ্ছে।এরই মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। পবিত্র মাহে রমজান সামনে রেখে মুসলিম দেশ তুরস্কের সাথেও সম্পর্ক বাড়াচ্ছে বর্তমান সরকার। এরই মধ্যে দেশটি থেকে সামরিক সরঞ্জাম এবং পণ্য আমদানি রপ্তানির চুক্তি হয়েছে। এবছর রমজান মাসকে কেন্দ্র করে তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণ ফল আমদানি করছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।

notebook

জাবিতে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রেম বঞ্চিত সংঘের বিক্ষোভ মিছিল